মৃত্যুর সংখ্যা ১২০+ (প্রতক্ষ্যদর্শী)
২ তালা ভবন
— ১ম তলায় ৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেণি
— ২য় তলায় ৬ষ্ঠ,৭ম,৮ম শ্রেণি
আমি কোন ক্লাসরুমে ঢুকিনি যেন এক উত্তপ্ত কয়লার বাগারে ঢুকেছিলাম… ক্লাসের ঢুকার রাস্তায় বিমানের ধংসাবশেষ পড়ে বন্ধ… জানালা একটি— ভিতরে ৩০+ শিক্ষার্থী বেঞ্চে বসে…দেহ অর্ধ গলিত অবস্থায়…কেউ হাত নাড়ায় আর কেউ মাথা… এক সেনা সদস্য বাহিরে দিয়ে গ্রিল ভাঙ্গবার কথা বলা মাত্র ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন মিলে গ্রিল ভাঙ্গা শুরু করি…. কয়েকজনের হাত জানালার গ্রিলে ছিল (কারণ তারা বের হবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে ছিল) কিন্তু আগুনের উত্তপ্তার কাছে জীবন দিতে হল তাদের…
জানালার গ্রিল ভাঙ্গবার সময় পাশে থাকার ২ জন সেনাসদস্য কাদঁছিল আর বলছিল, “এইযে মা !!! এইযে মা হয়ে গেসে আরেকটু এরপরই বের হতে পারবা ” বলে বলে অজস্র কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখছি… হাত কাপছিল বাচ্চাগুলার মুখ দেখা মাত্র… বালতি দিয়ে নিচ থেকে পানি আনতে গেলে উপরে শব্দ পাই গ্রিল ভাঙ্গসে… ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক এক করে ঢুকে গেল আমাদের মাক্স ছিল না তাই মানা করসে আমরাও মানা শুনে ঢুকার সাহস করিনি… মাথা ঝিম খাওয়া ছিল, হাত কাপছিল আর হার্টবিট প্রচুর ফাস্ট হয়েগিয়েছিল… শুধু দেখলাম ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বাচ্চা গুলোর হাত ধরে তুলতে গিয়ে হাত সাথে এসে পরতেসে আহহহহহহহহ…. নিজেকে ঐ সময় কিভাবে ঠিক রাখতে পেরেছিলাম তাই ভাবছি…
সমাজের কিছু শু’য়ো’রের বাচ্চার সাথেও দেখা হইসে যারা আহত কিন্তু সুস্থ অবস্থায় হেটে হেটে প্রথম ধাপে বের হইসে তাদের ভিডিও করছিল আর “আল্লাহ” “ইসসস” “আল্লাহ” করছিল… মূলত এদের সাথে সেনা সদস্যদের হাতাহাতিই দেখতে পেরেছেন হয়তো… এদের এইসব কর্মকান্ডের জন্য আর সারাক্ষণ বিভিন্ন পয়েন্টে মারামারি দেখতে পাইসি এবং আমার মতে উচিত হয়েছে….
— হে আল্লাহ!!!, ” তুমি এরকম পরিস্থিতি আর বাংলাদেশের বুকেঁ না নামাও…আজ যত নিরীহ প্রাণ গুলো নিহত হয়েছে তারা শহীদ…জান্নাতের সর্বোচ্চ মকামে ওদের রেখো আর এই “বাংলাদেশ”কে এরকম আপদকালীন সমস্যাগুলো থেকে বের করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা দিয়ে সমৃদ্ধশালী কর আর যারা এই দেশকে সমৃদ্ধশালী হওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের উপর গ’জব নাযিল কর… আমিন
উত্তরা মাইলেস্টন কলেজ বিমান বিধ্বস্ত দূর্ঘটনা
২১/০৭/২০২৫ ; দেশের পাতার এক নির্মম কালো অধ্যায়।
My Blog My WordPress Blog